Mahabharat - Duryodhan tried to kill Bheem at first time

The Mahabharata - দুর্যোধন প্রথমবার ভীমকে মারতে চেষ্টা করেছিল। এবং ভীমের নাগলোক দর্শন





রাজা পান্ডুর মৃত্যুর পর ধৃতরাষ্ট্র হস্তীনাপুরে স্থায়ী রাজা হিসেবে নির্বাচিত হয়। এদিকে পান্ডু ও মাদ্রীর  মৃত‍্যুর পর কুন্তী ও তার পাচ পুত্র যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নুকুল ও সহদেব হস্তীনাপুরে ফিরে আসে। পিতার গৃহে ফিরে এসে প্রথম দিকে তারা ভালো ভাবেই দিন কাটাতে লাগে। ভীম গাছ থেকে ফলমূল যতখুশি খেতে লাগে। পিতামহ ভীষ্মে র কাছ থেকে কৌরব ও পান্ডব রা শিক্ষা লাভ করতে  থাকে।
কৌরব রা সকলের সামনে পান্ডব দের সঙ্গে ভালো ব‍্যাবহার করলেও মনে মনে তারা পান্ডবদের একবারেই সহ‍্য করতে পারত না ।
ভীম মজার ছলে কৌরব ভাইদের গাছ থেকে ফেলে দিত , জলের মধ্যে ফেলে দিত।
তাই সেখান থেকেই  অল্পদিনের মধ্যেই ভীম কৌরবদের কাছে বিদ্বেষের করন হয়ে ওঠে।
একদিন যমুনা নদীর তীরে বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল । নানা ধরনের রান্নার পদ ছিল এবং সবাই  ক্রীড়া তে মগ্ন ছিল।‌ এই সময় মামা শকুনি ও দুর্যোধন ভীমকে মারবে বলে ঠিক করে। ভীম লাড্ডু খেতে খুব ভালোবাসত তাই দুর্যোধন ভীমকে  কালকূটের বিষ মেশানো লাড্ডু খাইয়ে দেয়। এবং তৎখনাত ভীম মূর্ছিত হয়ে যায়। এদিকে ভীমকে সবাই দেখতে না পেয়ে চিন্তিত হয়ে যায়। সবাই ভাবে ভীম হয়তো বাড়ি ফিরে গেছে। এবং সবাই সেখান থেকে প্রস্থান করলে  দুর্যোধন ও শকুনি ভীমকে জলের মধ্যে ফেলে দেয়।
এদিকে সবাই হস্তীনাপুরে ফিরে দেখে যে ভীম সেখানেও নেই । তখন সব কথা মাতা কুন্তীকে জানালে কুন্তী বুঝতে পারে এর পিছনে নিশ্চয় দুর্যোধনের হাত আছে।
নাগলোকে ভীমের প্রবেশ  :
এদিকে ভীম জলের মধ্যে  মুর্ছিত অবস্থায় নাগলোকে প্রবেশ করে এবং নাগেরা তাকে দংশন করতে লাগে । দংশনের ফলে বীষে বীষে।বীষঃখয় হয়ে ভীমের নিদ্রা ভগ্ন হলে সে সাপেদের বধ করতে থাকে । সেই ভয়ে সাপেরা  নাগরাজ বাসুকির শরনাপন্ন হলে বাসুকি নাগ ভীমকে দেখে চিন্তে পারে যে সে তার দৌহিত্রের দৌহিত্র। এবং ভীমকে সেবা করে ঠিক করে তোলে  এবং ভীমকে একটি রাসায়নিক রস পান করতে বলে। যার ফলে ভীমের গায়ে ১০০ হাতির শক্তি সন্চিত হয়।

কিছু দিন পর ভীম হস্তীনাপুরে ফিরে এসে সব কথা মাতা কুন্তী ও পান্ডব ভাইদের বলে। সব শুনে যুধিষ্ঠির কাওকে বলতে বারন করে এবং সবাই কে এবার থেকে সাবধানে থাকতে বলে।

এদিকে ভীষ্ম সব কথা জানতে পারে এবং ধৃতরাষ্ট্র কে বলে কৌরব ও পান্ডবদের শিক্ষা লাভের জন্য গুরুকুলে পাঠাতে।
Bheem in naglok 

No comments